এবিএনএ : বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সফল উৎক্ষেপণ হওয়ায প্রধানমন্ত্রী ও সজিব ওয়াজেদ জয় কে অভিনন্দন জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাউথজার্সি মেট্টো আ’লীগের ১নং যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও আমেরিকা বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সীর চেয়ারম্যান ও প্রধান সম্পাদক শেখ শওকত শিমুল।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তথ্য প্রযুক্তির গোড়াপত্তন করেন ১৯৭৫ সালে বেতবুনিয়া ভূ উপগ্রহ কেন্দ্রটি স্থাপনের মধ্যে দিয়ে।রাঙ্গামটির এই ভূ উপগ্রহের মাধ্যমে বিনা তারে সারা বিশ্বর সাথে যোগাযোগ স্থাপন হয় । স্বাধীনতা-উত্তর বিধ্বস্ত বাংলাদেশ গঠনে যোগাযোগে এর অবধান ছিলো অপরিসীম । তারই সূত্র ধরে আজ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ । বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে সরকারে এসে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ করার লক্ষে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা শুরু করেন। তথ্যপ্রযুক্তি বিকাশের জন্য তিনি বিশাল প্রকল্প বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ হাতে নেন । বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সুযোগ্য সন্তান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সাহসী নেতৃত্বে নির্মীত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। এটির মাধ্যমে বিশ্বের ৫৭তম স্যাটেলাইট সদস্য দেশের তালিকায় নাম লেখালেন বাংলাদেশ, পরিবেশ অনুকূলে থাকাই যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের কেপ ক্যানাভেরালের লঞ্চিং প্যাড থেকে “বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১” আগামী ১০ মে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় ফ্লোরিডা থেকে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়।এর আগে ছয় বার উৎক্ষেপণের তারিখ পরিবর্তন হয়েছে। নতুন তারিখ ঘোষণা হলেও উৎক্ষেপণের ব্যাপারে এখনো শতভাগ নিশ্চিত নয় বিটিআরসি। শুধুমাত্র উৎক্ষেপণের দিন সকালে এ বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে থাকে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মোট ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে। এর মধ্যে ২০টি ট্রান্সপন্ডার বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে। বাকি ২০টি ট্রান্সপন্ডার বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রির জন্য রাখা হবে। বর্তমানে দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে স্যাটেলাইট ভাড়া নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। এজন্য বছরে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ১২৫ কোটি টাকা। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট চালু হলে এই ব্যয় কমবে। একই সাথে দেশের টাকা দেশেই থেকে যাবে।
উক্ত স্যাটেলাইটের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সুবিধা হলো:
১) টিভি চ্যানেল ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের স্যাটেলাইট ভাড়া বাবদ সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে প্রদানকৃত ১৫ মিলিয়ন ডলার অর্থ সাশ্রয় হবে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উক্ত স্যাটেলাইটটি ভাড়া দেয়ার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ প্রতি বছর ৫০ মিলিয়ন ইউএস ডলার আয় করতে পারবে ।
২) দেশের সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে ।
৩) আবহাওয়ার গতি পর্য্বেক্ষন করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে ।
৪) ঝড়ের গতিবেগ ও পথ নির্ণয় করে ক্ষয়-ক্ষতি কমিয়ে আনা যাবে ।
৫) ইন্টারনেটের গতি বাড়বে ।
৬) ভূমি ও প্রাকৃতিক সম্পদ অনুসন্ধানে সহায়তা করা যাবে ।
৭) সমগ্র দক্ষিন এশিয়াসহ ইন্দোনেশিয়া,ফিলিপাইন,তুর্কমিনিস্তান,কাজাখিস্তান সহ অন্যান্য দেশে সেবা প্রদান করতে পারবে বাংলাদেশ ।
৮) টিভি এবং রেডিও ব্রডকাস্ট আরও দ্রুত ও মসৃণ হবে । HD কোয়ালিটি বাড়ানো যাবে ।
যে সাহসীকতা,মনোবল ও স্বপ্ন নিয়ে দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা স্যাটেলাইটটি নির্মান করিয়েছেন তাই সফলভাবে উৎক্ষেপণ হয়।